Posts

Showing posts from November, 2019
যে বসন্ত চলে গেল: যে বসন্ত চলে গেল এক পশলার আবির সাজে এরিকা তাকে খুজেই পাবে ব্লাক ফরেস্ট টিউলিপ মাঝে। যে বসন্ত চলে গেল ঝরাপাতার সাথি হয়ে শিমুল পলাশ কাঙাল হল ফাগের শেষে মুক্তি পেয়ে। যে বসন্ত চলে গেল দোয়েল কোয়েল কুহু তানে দুরের মানুষ কাছে এল দখিন হাওয়ায় গানে গানে। যে বসন্ত চলে গেল মরিচিকার সপনো মায়ায় গভীর এক উপত্যকায় মিথেন গ্যাসের হৃদয় জলায়। যে বসন্ত চলে গেল বকুল গন্ধের বন্যাধারায় রঙ দে গেরুয়ায় মনের গহন আঙিনায়।
প্রকৃতির পটপরিবর্তন: হে রুদ্র বৈশাখ গ্রাস করেছ সুদুর বনানি হঠাৎই এক লেলিহান শিখা শুরু করলে এক সর্বনেশে খেলা পাহাড় থেকে পাহাড়ে, ধোঁয়া আর ছাই, বলে ফুসফুস চাই, হে বিধাতা কি তোমার অভিপ্রায় দংশিছে কেন অন্তরাত্মা হায়। জানি পটপরিবর্তনে প্রকৃতি হবে দয়াপরবশ কঠোরতা জন্ম দেবে করুন রসের পার্বতীর উদ্দাম জলোচ্ছাস সুর ধরে নেয় সত্যযুগের নাগ্গর এর অনন্ত সবুজ জুড়িয়ে দেয় শহুরে মন। পুরানের অভিধান খুলে শুনছি শিব পার্বতীর মনিহারা কথা আক্রোশে মাটি ফুঁড়ে উঠে আসা  ফুটন্ত কুন্ডের ওপর ঝাপসা ভালোবাসা। ভরসা থাকুক অনাদি অনন্তে,  ওম মন্ত্রে বদলে যাক জীবনের পরিভাষা।
আমার বাবার গল্প- ধর টিকি মার বেল: আমাদের বাড়ির অধিষ্ঠাত্রি দেবতা শ্রী শ্রী নন্দনন্দন জিউর। ঠাকুরঘরের দুই দিকে দুটো বিশাল বড় বড় মহিরুহ ছাতার মতন ঘিরে রেখেছে যার একটি বেলগাছ আর একটি সোনা রঙের চাঁপা গাছ। সেই বেলগাছ নিয়ে আমার আজকের গল্প।কিছুটা আমার আর অনেকটাই বাবার অবদান্। ছেলেবেলায় যখন বিছানায় শুয়ে শুয়ে বেল পড়ার শব্দ পেতাম, খুব ইচ্ছা করত বেল কুড়িয়ে আনতে। কিন্তু বাবা অমাদের ব্রহ্মদত্তির ভয় দেখিয়ে সে আশায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন। আর মা বলতেন ঠাকুর না জাগা অব্দি ওখানে যেতে নেই। আমরা অপেখ ্খা করে থাকতাম কখন পুরোহিত আসবেন ও স্বর্নচাঁপা ফুল তুলতে তুলতে ঠাকুরকে ঘুম ভাঙাবেন "জাগহো বৃকভানু নন্দিনী ওঠো যুবরাজে"। আহা কি মধুর সেই কন্ঠস্বর যার সম্মোহনি শক্তি আমাদের সকাল সকাল ঠাকুরঘরের দিকে টেনে নিয়ে যেত। ঘন্টা বাজানো স্তব পাঠ করে প্রসাদের বাতাসা খেয়ে তবে বাড়িতে আসা। মোটামুটি এইভাবেই সকাল সুরু হত আমাদের্। এবার বাবার ব্রহ্মদত্তির গল্পে আসা যাক যেটা বড় হয়ে শুনেছি। আমার দাদুর সকালের প্রাতরাশ হল একটা আস্ত পাকা বেল আর যেটা উনি ঠাকুরঘরের পাশের বেলগাছ থেকে কাকডাকা ভোরে কুড়িয়ে পেতেন। একবার বাবা কা...
আমাদের দুপুরবেলা-ফলসাগাছের সাথে আমার অাগের দুটো গল্পের মুল চরিত্র ছিল দুটি গাছ বাঁশ ও বেল। এবারেও তার অন্যথা হবে না, গাছ অকৃপন হস্তে তার সুমিষ্ট ফল উজাড় করে দিত সে আম, জাম, জামরুল, কাঁঠাল, সবেদা, দালিম অার কত কি। আর স্বর্নচাঁপা, গন্ধরাজ, বেল ফুল এর গন্ধে মাতোয়ারা করে রাখতো বাড়ির প্রাঙগন। মা বলতেন দরজা বন্ধ করে রাখ না হলে বেলফুলের উগ্র গন্ধে সাপ আসতে পারে।স্বর্নচাঁপা ফুল তোলার অধিকার ছিল কেবল পুরুত মশাইএর কারন এটা ছিল এক্কেবারে মন্দিরের ছাতে আর সেখানে আমাদের প্রবেশ নিষেধ। ভোরব েলা পুজোর আগে যখন উনি ফুল তুলতেন একটা সুমিষ্ট গন্ধে চতুর্দিক স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হত।এছাড়াও গাছ তার রহস্যময়তা আর অাচ্ছাদন দিয়ে অামাদের ঘিরে রাখত। মনে পড়ে ঢিল মেরে অনেক চেষটা করে যদি একটা আম বা জামরুল মাটিতে পড়ত খুশির ঠিকানা থাকত না। সে খুশির কাছে পরিখ্খায় প্রথম হওয়া কিছুই নয়। এবারে আমাদের গল্পে ফেরা যাক। গ্রীষ্মাবকাস চলছে, লম্বা দুপুরবেলা। সকাল কেটে যেত আডডা মেরে, সাঁতার কেটে কিন্তু দুপুরবেলা। আমাদের ছিল এক ডানপিটে পিসি যদিও বয়সে অামাদের প্রায় সমান। দুপুর হলেই তারসাথে আমরা একছুট্টে বাড়ির পিছনের ফলসাগাছে হ...
সজনে গাছ ও এক বুড়ির কথা: গল্পের গরু গাছে ওঠে এটাই আমরা জানি কিন্তু সত্যি ঘটনার কাহিনি যে আমাকে গাছের মগডালে তুলে মই কেড়ে নেবে এটা অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে মন্দ লাগে না নিচের দুঃখ নিচে ফেলে এসে কিছুটা সময় কাঠবিড়ালি, কাঠপিপড়ে, চড়ুই, চন্দনা, ময়নাদের রাজত্বে ঢুকে যেতে। গাছটি যদিও ছিল আমাদের বাড়ির গন্ডির বাইরে কিন্তু তার আসল শাখাটি বিস্তার করেছে বাড়ির চৌহদ্দির মধ্ধ্যে। আমাদের বাড়ির পিছনদিকে বসন্ত থেকে সারা গরমকাল হলুদ হয়ে থাকত তার ফুলে। আর বাবা যেদিন তাড়াতাড়ি কাজে বেরিয়ে য েতেন কলকাতায়, ওই ফুলের চচ্চরি মা চার ছেলেমেয়েদের জন্যে বানিয়ে রাখতেন ভাতের সাথে খাবার জন্যে। তার পরে আসত ডাঁটার সময়। তখন দুবেলা ডাঁটা চিবোতে চিবোতে প্রানান্তকর অবস্থা আর কি! এবার ঘটনায় আসা যাক। আগেই বলেছি গাছ্টা ফল ফুল জোগালেও ওটার আসল মালিক ছিল পাশের বাড়ির মানে এক বুড়ির। এক টালির চালের ঘরের মধ্ধ্যে ছিল তার জীবন বাঁধা। বুড়ির চুল থেকে নেমে আসা ঝুড়ি, দাওয়ায় খেতে খেতে মুড়ি যখন প্রবচন শুরু করত বুড়ি, আমরা তখন কি আর করি দরজায় খিল লাগিয়ে রাম নাম স্মরি। তা একদিন মা বলেছে দু চারটে ডাঁটা ছাত থেকে পেড়ে আনতে। হয়েছে কি ভোরবেলা ছাত...
আমার বাড়ির দুর্গাপুজাঃ আমাদের দেড়শত বছরের পুরোনো বাড়ির পুজোর পিছনে কিছু ঐতিহ্যপুর্ন তথ্য লুকিয়ে আছে। সেই সময়ে কলকাতায় সম্ভ্রান্ত ধনী পরিবারেই দুর্গাপুজার প্রচলন ছিলো যার জন্য গ্রামবাঙ্লার লোকেরা হীনমন্যতায় ভুগতেন। কথিত আছে আমাদের বাড়ির পুজো গ্রামবাঙ্লার লোকেদের মুখে হাসি ফোটানোর একটি প্র​য়াসের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়।কিছু টুকরো ঘটনা নিয়ে আমার এই গল্প​। মনে প​ড়ে আমাদের পুজো মহালয়া থেকেই শুরু হ​য়ে যেত বিরাট ঠাকুর্দালানের মাঝে আর দাদুর পুজো শেষে রাতে এক বেলা খাওয়া।আমরা অঞ্জলি শেষ করে  যখন মুড়ি তেলেভাজা সমেত ভুরিভোজ করতাম মনে হত দাদুটা কি অদ্ভুত, কিছু না খেয়ে মানুষ কি করে বেঁচে থাকে। পরে অবশ্য সেই ভুল ভাঙে য্খন দেখি নব্বই বছর বয়সেও তিনি কিরকম কর্মঠ ছিলেন্। মনে পড়ে নবমীর মন্ত্রচ্চারনের সম​য় পুনরায় গমনায়চ বলা শেষে পুরুতমশায়ের কান্নায় বুঝে আসা কন্ঠ আর দুচোখ বেয়ে নেমে আসা জলের ধারা। এই জলতরঙগ না রুধিলে পুজো শেষ কি করে হবে সেই নিয়ে আমরা চিন্তায় প​ড়ে যেতাম। আর ভাবতাম একজন বয়স্ক লোক সকলের সামনে এমনভাবে চোখের জল ফেলছেন লজ্জা করছে না। পরে অবশ্য জেনেছি ভক্তি না থাকলে পুজো করা বৃথা। মনে প​ড়...
শ্রীকৃষ্নের রাসযাত্রা ও একটি রুপকথা: শ্রীকৃষ্নের রাসযাত্রা আমাদের বাড়ির এক বিরাট আকর্ষন ছিল। দুর্গাপুজায় যেমন আচার বিচার্, রীতি নীতি উপবাস করতে দিন কেটে যেত রাসযাত্রা ছিল তার বিপরিত। সকাল থেকে ঠাকুরের মন্দির সাজানো, প্যান্ডাল সাজানো শোলার হরেক রকমের পাখি আর কাগজের তৈরি চেন দিয়ে। রেলওয়ে স্টেশনে একটি প্রস্তর ফলকে "শ্রীশ্রী নন্দনন্দন জিউর এর রাসযাত্রা উপলখ্খ্যে এইখানে নামুন" লেখাটি আমাদের গর্বের বস্তু ছিল। আমাদের মাঠে যাত্রাপালা আর পাশের মিত্তিরদের মাঠে পুতুলনাচ আর খাবার দাবার জ িনিষ। সে এক দিন ছিল; জিলিপি ভাজা সুরু হলেই কে প্রথম জিলিপি আনতে পারবে সেই নিয়ে কাকাদের সাথে অঘোষিত প্রতিযোগিতা। আর পুতুল নাচের রহস্য সন্ধান করতে বেশ কয়েকটা বসন্ত পার হয়ে গেছে। এবার আসা যাক আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু সন্ধাবেলার প্রোগ্রাম এ। রাসপুজো শেষ হলে ঠাকুরনাচের তালে তালে অামাদের চৈতন্য মহাপ্রভু স্টাইল এ নাচ চলত একবার শ্যাম আর একবার রাধা কে কেন্দ্র করে। কখনো "শ্যাম নব বিশরো বামে" আবার কখনো বা "রাধে রাধে রাধে রাধে, শ্রীরাধে জয় রাধে রাধে"। কথায় আছে না ছোটো বেলার শেখা কখনো বৃথা যা...
একা বসন্তে: কড়িকাঠে চোখ রেখে একা একা, বাইরে ঝলসানো রুটির ছ্যাঁকা, এক অপরিচিতার সাথে হঠাৎ দেখা, গড়গ​ড়িয়ে চললো আবোল তাবোল লেখা। চৈত্র এল সবে বছর ঘুরে, বোশেখ জষ্ঠি এখনো যে দুরে, রবিগানের সুরে সুরে, পৌঁছে যাই শুষ্কতাপের দৈত্যপুরে। কোনও এক শ্রীজাত আসেন ঘুরে ফিরে, জাত চেনাতে ধরমের ত্রিশুলে মুড়ে, কি যে এমন দ্বন্দ্ব ছিলো অন্তঃপুরে, প্রকাশ হল কলুষতায় সবার মাঝারে। বাইরে গরম ভেতরে মরম, তবুও তো আছে মুহুর্তে ছুঁয়ে যাওয়া নরম, এখনো খুঁজলে পাবে চরাচর অনাদি অনন্ত​, ক্ষনিকা হলেও সেও তো বসন্ত​।
ছিন্নস্মৃতির ফাগুন: ছিন্নস্মৃতিতে এসেছে ফাগুন পলাশ শিমুল কৃষ্নচুড়ায় আগুন। শিমুলতলায় দে দোল দোল কদমফুলের পঞ্চম  দোল সাথে মৃদঙ করতাল ঢোল শ্যামসুন্দর তলায় হট্টগোল আম্রশাখায় লেগেছে বোল এসেছে ফাগুন দে দোল দোল। এসেছে ফাগুন দুয়ার খোল রতন চয়ন কর আনমোল। বসন্ত ছোঁয়া শরীরে অহম পেরিয়ে মনের গভীরে কুহুতানের সম্মোহনের সুরে পাখির নীড়ের চোখদুটি ঘিরে দখিন হাওয়ায় মর্মরিয়ে এসেছে ফাগুন গুনগুনিয়ে।
আমার প্রিয় আমগাছ: আমগাছটা বড় রাস্তার পাশে আমাদের আর কাকাদের বাড়ির সীমানা চিহ্নিতকারী হিসাবে তার একমাথা ঝাঁকড়া চুল নিয়ে বিরাজমান ছিল। যেহেতু গাছটি সীমানায় অবস্থিত তার ফল মানে আমের অধিকার নিয়ে একটা অহম ভাব থাকতো। এক বাড়ির লোকে দু একটা আম পাড়লেই অন্য বাড়ি রনং দেহি মনোভাব নিয়ে তেড়ে যেত। মধ্যিখান থেকে লাভ হত পাড়ার ছেলেদের। দুপুরে সবাই যখন দিবানিদ্রায় মগ্ন তখন পাঁচিল পেরিয়ে গাছে চ​ড়ে কাজ শেষ মানে আমের দফারফা। কখনো আবার ইঁটবর্ষন হত রাস্তা থেকেই। আমগাছের সাথে জড়িত একটি কাহিনি মনে পর লো। বাবা ডেইলি প্যাসেনজারি করে বাড়িফিরতে ফিরতে রাত গড়িয়ে যেত​। বাবা বাড়ি ফিরতেই মার অনুযোগ দুই ছেলে এত মারপিট করেছে যে বাড়িতে তিষ্টানো দায় হ​য়ে পড়েছে। যেহেতু বড়ো তাই দোষী সাব্যস্ত করে বাবা আমাকে বাইরে বের করে দরজায় খিল তুলে দিলেন। বাইরে তখন নিকষ অন্ধকার বোধ হ​য় অমাবস্যা হবে। এমন মিশকালো অন্ধকারে আমি আর সামনে সেই অতি পরিচিত আমগাছ। মনে হল যেন সে শাখা প্রশাখা বিস্তার করে আছে আমার আসার অপেখ্খায়। তার সম্মোহনি শক্তি উপেখ্খা করতে পারলাম না। গাছে চ​ড়া বিদ্যা জানার জন্যে ওপরে মগডালে চড়তে অসুবিধা হল না। কি অদ্ভুত নিস্ত...
আমার দেখা বর্ষাকাল: আমার বর্ষাকাল মানে নিজের চোখে দেখা গ্রামবাঙ্লার বর্ষাকাল। সেই জল থৈ থৈ মাঠ, পুকুর, কর্দলিপ্ত ফুটবলের বিকেল, জুঁই, বেল এর গন্ধে মাতোয়ারা সন্ধে আর ব্যাঙ এর ডাকে সঘন গহন রাত্রি। প্রথম বর্ষনের পর থেকেই মনে আছে দেখতাম পুকুরের জল কতটা বাড়লো। জল যখন ছাপাছাপি হ​য়ে রাস্তায় উঠব উঠব করছে সেই পরিপুর্নতায় মনটা খুশিতে ভরে উঠতো। আর জলে ঝাঁপ দেবার জন্যে হন্যে হয়ে ঘড়ির দিকে অপলকে তাকিয়ে থাকতাম কখন এগারোটা বাজবে। বৃষ্টিতে সাঁতার কাটার মজাই অালাদা যদিও ডুব সাঁতার না জানার  দরুন জলের নিচের রাজ্যটা অধরাই র​য়ে গেল​। একবার হল কি, আমি তখন মাঝগঙগায় (আগে ছিল আদিগঙগা এখন মজে মজে হ​য়েছে পুকুর) হঠাৎই মনে হল কে যেন অামাকে টেনে জলের নিচে নিয়ে যাচ্ছে। একে সকাল থেকে বৃষ্টি পড়েই যাচ্ছে, ঘাট ফাঁকা ছিল সেকারনে। কে আমাকে জলের নিচে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে, আর কেই বা বাঁচাবে। কিছু আগে একটা জলঢোঁড়া সাপকে পাস দিয়ে যেতে দেখেছি কিন্তু সে তো আমার থেকেও নিরীহ এক প্রজাতি। তবে কি জলের নিচের অজানা রাজ্য থেকে কোনো রহস্যময়ি প্রানী। প্রানপনে পা ছুঁড়তেই প্রানীটি আমাকে ছেড়ে দিল। কোনক্রমে পাড়ে পৌঁছে দম পুনরুদ্...
সজনে গাছ ও এক বুড়ির কথা: গল্পের গরু গাছে ওঠে এটাই আমরা জানি কিন্তু সত্যি ঘটনার কাহিনি যে আমাকে গাছের মগডালে তুলে মই কেড়ে নেবে এটা অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে মন্দ লাগ ে না নিচের দুঃখ নিচে ফেলে এসে কিছুটা সময় কাঠবিড়ালি, কাঠপিপড়ে, চড়ুই, চন্দনা, ময়নাদের রাজত্বে ঢুকে যেতে। গাছটি যদিও ছিল আমাদের বাড়ির গন্ডির বাইরে কিন্তু তার আসল শাখাটি বিস্তার করেছে অামাদের বাড়ির চৌহদ্দির মধ্ধ্যে। আমাদের বাড়ির পিছনদিকে বসন্ত থেকে সারা গরমকাল হলুদ হয়ে থাকত তার ফুলে। আর বাবা যেদিন তাড়াতাড়ি কাজে বেরিয়ে যেতেন কলকাতায়, ওই ফুলের চচ্চরি মা চার ছেলেমেয়েদের জন্যে বানিয়ে রাখতেন ভাতের সাথে খাবার জন্যে। তার পরে আসত ডাঁটার সময়। তখন দুবেলা ডাঁটা চিবোতে চিবোতে প্রানান্তকর অবস্থা আর কি! এবার ঘটনায় আসা যাক। আগেই বলেছি গাছ্টা আমাদের ফল ফুল জোগালেও ওটার আসল মালিক ছিল পাশের বাড়ির এক বুড়ি। একচালার ঘরের মধ্যে ছিল তার জীবন বাঁধা। বুড়ির চুল থেকে নেমে আসা ঝুড়ি, দাওয়ায় খেতে খেতে মুড়ি যখন প্রবচন শুরু করত বুড়ি, আমরা তখন কি আর করি দরজায় খিল লাগিয়ে রাম নাম স্মরি।  একদিন মা বলেছে দু চারটে ডাঁটা ছাত থেকে পেড়ে আনতে। হয়েছে কি ভোরবেলা ছাতে আ...
তুমি আসবে বলেই: তুমি আসবে বলেই শরতের আকাশ নরম তুলতুলে, ভোরের আকাশ সুবাস ছড়ায় শিউলি ফুলে। তুমি আসবে বলেই কাশের বন হাওয়ায় দোলে, মায়াবি রাত হারায় তারায় স্বপ্নের কোলে কোলে। তুমি আসবে বলেই শিকেয় ওঠে বাজারের সেই থলে, মন ভরে না মুখে রচে না ভাত আর মাছের ঝোলে। তুমি আসবে বলেই ঢাকের শব্দে মনের দরজা খোলে, মনোহারিনী তরুনী ঢাকাই হাঁকায় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। তুমি আসবে বলেই গানের সুরের আসনখানি মেলে, টিম গড়ি, লড়াই করি কমপিটিশান খেলে। তুমি আসবে বলেই বিসর্জনের বাজনায় চোখ ছলছলে, স্বচ্ছ ভারত ফেনার আড়ত যমুনার পুন্য জলে। তুমি আসবে বলেই দশমীর বিদায় রঙ ভুলে, আসছে বছর আবার হবে আশ্বাসবানী মেলে।।
আমার দুষনমুক্ত দিল্লির স্বপ্ন: দিল্লিতে এখন আপাতকালীন স্থিতি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিজেদের মতামত বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে জানাতে ব্যস্ত। যে যত চমকপ্রদ খবর দিতে পারবে তার ভক্তসংখ্যার ততো বাড়বাড়ন্ত।বিপরীত্ধর্মী খবর হলে তো আরো ভাল​। যেমন ধরুন একজন বললেন সকাল বেলায় ফ্রেশ এয়ার পাওয়া যায় সুতরাং জানালা দরজা তখন খোলা রাখুন।অন্যজন বলে উঠলেন মোটেই নয় বিকেল তিনটে থেকে পাঁচটা প্রদুষন কম তখন খোলা হাওয়া গাইতে গাইতে দখ্খিন দিকের জানলা খুলে দিন। বিধিনিষেধের অন্ত নেই, এপোলোর এক নামি দামি ডাকত ার উপদেশ দিলেন ঘরের মধ্যেই থাকুন, কোনো ব্যায়াম নয়, হাঁটা চলা বন্ধ এমনকি শ্বাস নেবেন ধীরে। জোরে নিঃশ্বাস নিয়েছেন কি ভুগেছেন। ধুলো, ছাই আপনার শরীরে প্রবেশ করে শ্বাসযন্ত্রকে অকেজো করে দিতে পারে।তার চেয়ে চোখ বন্ধ করে যোগোনিদ্রায় শুয়ে থাকুন, শুনতে চেষ্টা করুন ঝিঁঝিঁপোকার ডাক। মনে করুন আপনি এক অশরীরী আত্মা, ওই মহাসিন্ধুর ওপারে ভাসতে ভাসতে চলেছেন পরমাত্মার সাথে মিলনের জন্যে। আহা কি আনন্দ​, কি শান্তি।সমুখে শান্তি পারাবার, ভাসাও তরণি হে কর্নধার। আর একজন তো মহিলা মহলে প্রতিবাদের ঝড় তুলে ফেললেন এই বলে যে ভগবানের অারাধ...
সে এসেছিল​: এক শীতের রাতে উত্তর গোলার্ধ ছুঁয়ে উড়ে আসা পরিযায়ী পাখীর মতন সে এসেছিল পৃথিবীর সমস্ত উষ্ণতা নিয়ে। পাতা ঝরা তখন প্রায় শেষ, নতুন পাতা আসতে শুরু করেছে সবে। তার আসার সংবাদ পেয়ে প্রদুষন কাটিয়ে ভোরের অাকাশ সমস্ত স্নিগ্ধতা নিয়ে হাজির। শিউলি ফুলও অসম​য়ে ফুল ঝরিয়ে গেল তার আগমনে। সেকি ভুলতে পারে তার জন্যে অপেখখা করছে চাঁপা, করবী আর কত কি! কবিগুরুর ভাষায় "সহসা ডালপালা তোর উতলা যে, ও চাঁপা ও করবী, কারে তুই দেখ্তে পেলি আকাশ মাঝে"।সুতরাং সব আকর্ষন অগ্রাহ্য করে শুধু ছুটে চলা উষ্ণ তা বিনিম​য়ের তাগিদে। সেকি চেষ্টা করেছিল জীবনের ধুসর রং এর ওপর প্রেমের সবুজ রং ঢেলে শীতকালীন আড়ষ্টতা কাটিয়ে তোলানোর। সেকি ছিল হেমন্তে কোন বসন্তের বানী যে দীপালিকায় আলো জ্বালাতে ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো। যতই ভাবি তারে ধরিয়া রাখিব সোহাগে যতনে কিন্তু প্রকৃতির ঋতু পরিবর্তনের মতই তাকে তো যেতেই হয় অন্য এক গোলার্ধে যেখানে আর এক পৃথিবী অপেখ্খা করে আছে। না হলে কি করে আসে বর্ষা আর কেমনেই বা মেঘের অবগুন্ঠন খুলে আসে শর​ৎ। তার চেয়ে এই ভালো আমার এই পথ চাওয়া। সে এসেছিল 🎂 একটি জন্মদিনের কবিতা সে এসেছিল এক শীতের রাতে ,...
ছিন্নস্মৃতির ফাগুন: ছিন্নস্মৃতিতে এসেছে ফাগুন পলাশ শিমুল কৃষ্নচুড়ায় আগুন। শিমুলতলায় দে দোল দোল কদমফুলের পন্চমদোল সাথে মৃদঙ করতাল ঢোল শ্যামসুন্দর তলায় হট্টগোল আম্রশাখায় লেগেছে বোল এসেছে ফাগুন দে দোল দোল। এসেছে ফাগুন দুয়ার খোল রতন চয়ন কর আনমোল। বসন্ত ছোঁয়া শরীরে অহম পেরিয়ে মনের গভীরে কুহুতানের সম্মোহনের সুরে পাখির নিড়ের চোখদুটি ঘিরে দখিন হাওয়ায় মর্মরিয়ে এসেছে ফাগুন গুনগুনিয়ে।
অন্য বসন্তে: কোথা সে শীতের আড়ষ্ট আবেশ, জড়স​ড় জবুথবু বেশ, এখন বসন্ত দেশ। বনবীথিকা ফুলে ফুলে ছায় শিমুল রঙে রাঙায়, উতল হাওয়ায় দোল দিয়ে যায়, কদমফুল পনচম দোল মাতায় বসন্ত তার চিহ্ন রেখেছে পাতায় পাতায়। কুড়ি বছর পরে সে এক অন্য বসন্ত​, আমি হোলির শুভেচ্ছা জানাতে পারিনি, আমার মনে কোনো রঙ লাগে নি। এ ফাগুন আজ বড়ো ক্লান্ত প্রখর তপন তাপে চতুর্দিক শান্ত​, যাযাবর মনপাখি উড়ে যায় রাশিয়ায়, সাইবেরিয়ায়, দীর্ঘস্থায়ী বসন্ত আনতে আমাদের বালুকাবেলায়।
যে বসন্ত চলে গেল এক পশলার আবির সাজে এরিকা তাকে খুজেই পাবে ব্লাক ফরেস্ট টিউলিপ মাঝে। যে বসন্ত চলে গেল ঝরাপাতার সাথি হয়ে শিমুল পলাশ কাঙাল হল ফাগের শেষে মুক্তি পেয়ে। যে বসন্ত চলে গেল দোয়েল কোয়েল কুহু তানে দুরের মানুষ কাছে এল দখিন হাওয়ায় গানে গানে। যে বসন্ত চলে গেল মরিচিকার স্বপ্ন মায়ায় গভীর এক উপত্যকায় মিথেন গ্যাসের হৃদয় জলায়। যে বসন্ত চলে গেল বকুল গন্ধের বন্যাধারায় রঙ দে গেরুয়ায় মনের গহন আঙিনায়।
বৈশাখী: চৈত্রশেষে এক সে নতুন দেশে, মধ্যরাতের বিগতযৌবনা রমনী এখন উপচানো নবযৌবনা রমনীর বেশেI এসো সোনার বরন, সোনী কুড়ী গড়ন​, ভাঙ্গড়া গিদ্দায় ফেলে চরন, চলো ঘুরে আসি তরন তারন​। সুখমনি পাঠ, পাপড়ি ও চাট, রুপালি থালায় দিগন্ত প্রসারী মাঠ, আহো, বিয়াসের তীরে সুন্দরীদের হাট। বৈশাখী এল রে বৈশাখী ঠাট।
ঋতুবদলের ইলিশ: আহ্হ ইলিশ;  মৌসুমি প্রেমে কেমনে করি তোমায় মিস, বর্ষার আগমনের নিঃশব্দ বারিশ উফফফ ইলিশ;  ভাপা, পাতুরি বা ফ্রাই, কি অদ্ভুত সব ডিশ। ইস্স্স ইলিশ;  তোমার প্রথম প্রেমের নির্ভুল সাজিশ, সমুদ্র মন্থনে ওঠা দেবভোজ্য জিনিশ। উফ্ফ ইলিশ;  ওমেগা থ্রী সুধাঢালা পদ্মার কিস, ঋতুবদলের গল্পে করবো রেলিশ।
Halloween ( Bhut Choturdoshi) in our times: Our beautiful mango tree standing tall off the main road demarcated the border of our and our uncle's house. As the tree was on the border, both the families had a tussle over it's ownership specially during the mango season. Both families used to keep a close watch on ripened mangoes specially those in the lower branches. And we would occasionally watch mini Kurukshetra if there was deviation from the status quo of the ripened mangoes. The beneficiary of this fight would invariably be the local boys who would spend entire afternoon in adjacent ground playing football. They would arrive a little early during mango season to take advantage of the quietness set in by afternoon nap. They were precise in their quest to empty low hanging fruits. And occasionally they would be chased away when their projectiles missed the target and landed in our arena. Thus the hide and seek continued throughout my growing up years. I feel nostalgic ...
বারোজন সৈনিক​: ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর গোলাপী দিনে ঘাতক বোমার আচম্বিত বিস্ফোরনে লৌহপুরুষদের বলিদানে বিধবা নারীদের অশ্রুবেদনে এই বসন্ত অনেক লাল রঙ দেখেছে মৃত্যু উপত্যকার রনে। নিতে হবে বদলা বারোজন সৈনিক একলা, এখনো লাল রঙা হ​য়নি পুবের সুর্য্য​, মিরাজে পশ্চিমে চলেছে মোদের শৌর্য্য নতুন ভারতের সম্রাট বারোজন নতুন মৌর্য্য​।
প্রকৃতির পট পরিবর্তন:​ হে রুদ্র বৈশাখ, সুদুর প্রান্ত পেয়েছে তোমার কঠোরতার আভাষ, পাহাড়ঘেরা বনানী জুড়ে আগুনে নিশ্বাস​, আম জাম কাঁঠালের বাগানে একি সন্ত্রাস। পরমুহুর্তে প্রকৃতি দয়াপরবশ কঠোরতা বদ্লে যায় করুন রস, পার্বতীর উদ্দাম জলোচ্ছাস​ সুর ধরে নেয় সত্যযুগের খাস​, নাগ্গরের আদিগন্ত সবুজ বন​ মজিয়ে তোলে শহুরে মন। দেখি পুরানের প্রচলিত সেই গাথা শিব পার্বতীর মনিহারা কথা, আক্রোশে মাটি ফুঁড়ে আসা ফুটন্ত কুন্ডের ওপর ঝাপসা ভালবাসা। বড় উতলা তুমি, কত সহজেই হারিয়ে ফেলো তেপান্তরের মাঠ​, চুকিয়ে দাও সবুজের পাঠ​, সরীসৃপের মত আঁক​ড়ে থাকো চুন​, বালি, কাঠ আর নকল ঠাঠ​। চৈত্রশেষে সে এক  নতুন দেশ, মধ্যরাতের বিগতযৌবনা রমনী এখন উপচানো নবযৌবনা রমনীর বেশ। এসো সোনার বরন, সোনী কুড়ী গড়ন​, ভাঙ্গড়া গিদ্দায় ফেলে চরন, চলো ঘুরে আসি তরন তারন​। সুখমনি পাঠ, পাপড়ি ও চাট, রুপালি থালায় দিগন্ত প্রসারী মাঠ, আহো, বিয়াসের তীরে সুন্দরীদের হাট। বৈশাখী এল রে বৈশাখী ঠাট।
আমার ছেলেবেলার ভুতের কাহিনি: আমার ছেলেবেলা কেটেছে কলকাতার উপকন্ঠে এক ছোটো শহরে। এককালে অাদি গঙগা ওখান দিয়ে বয়ে যেত যেগুলো এখন ছোট ছোট পুকুর এ পরিনত। পুকুর থাকলে  বাশবাগান থাকবেই আর দুটোর মাঝামাঝি রাস্তা দিয়ে রাতে একা হেঁটে যেতে অনেক সাহসী লোককেও রাম নাম জপতে দেখেছি।বিশেষত বর্ষাকালে যখন পুকুর জলে ভরে যেত আর একটানা ঝিঁঝিঁ পোকা আর ব্যাঙের ডাকে প্রকৃতি এক অাধিভৌতিক মায়াজাল বিছিয়ে রাখত তখন ঘর থেকেই সেই অনুভুতিগুলো নিতে হত। অবশ্য এর ব্যাতিক্রম ও হত এবং তার সুবাদে কয়েকবার বিচিত্র অভিজ্গতা লাভ করতে পেরেছি। সে কথায় পরে কখনো আসব। মা আমাদের আরো একটা ছড়া শিখিয়েছিলেন, "ভুত অামার পুত, পেত্নি আমার ঝি, রাম লখ্খন সাথে আছে ভয়টা আমার কি"। ভুত পেত্নি তো তাড়ানো গেল কিন্তু শাঁক্চুন্নি, ব্রহ্মদত্তি এদের ত কেউ আমল দিল না। শাঁকচুন্নি আসলে অনেকটা ছিচকে চোরের মতন্। ছোটোখাটো বিপত্তি ঘটাত। এই তো ভর দুপুর বেলা ভোলা দোকান বন্ধ করে খেতে আসছে মাছের থলি হাতে। যেই না বাঁশবাগানের পাস দিয়ে আসতে গেছে অমনি মগ ডাল থেকে এক শাঁকচুন্নি বলল এই ভোলা মাছের থলেটা রেখে যা বলছি অনেকদিন না খেয়ে আছি। শোনামাত্রই ভোলা থলিটা ...
ক্যালিফোর্নিয়া মায়া: আমার ক্যালিফোর্নিয়া সুসজ্জিত চেরি, বেরি, আনারকলি, পাহাড়ের গায়ে ঘন হয়ে থাকা নিলি লিলি, নরম রোদে গা ডুবিয়ে সোনালি দিনগুলি আলো আঁধারির লুকোচুরি রুপালি ঝিলিমিলি সান্তা মনিকার পিয়ারে তুই কি মৎস্যকন্যা হলি। নোবেল পার্কের শান্ত নিরালা কোন মেঘের ভেলায় ভাসমান হলুদ প্রজাপতি মন​, হাওয়াতে জেগে ওঠা পাম ট্রি র শিরশিরানি আচম্বিতে উড়ে আসা ফোয়ারা জলের ফিসফিসানি কাঠবেড়ালির রাজত্বে মায়াজাল ছড়ালো কোন​ জন​। আল্তো গোলাপের সমুদ্র সকাল মীরামার থেকে ছুটে আসা এক ঝাঁক সী গাল, সাদা কালো থেকে রঙিগন হওয়ার দিন মোহিতো, লাইম আর জিনের সিন​ নেশা লাগানো মাঝ দরিয়ায় সে কোন​ স্পীড বোটের ধামাল। প্রশান্ত সাগরপারের তারাবিহীন রাত লখখ্য বালুকনার মিটিমিটি জোনাকি সাথ, সানসেট ক্লিফ এর সূর্যাস্তের রক্তিম আভা অনাদিকালের যুগল প্রেমের লাভা বাতাসের উল্লাস, দুরন্ত ঢেউ, দুজনার​ হাতে হাত। কুয়াশার ঘেরাটোপে রহস্যময়ী বৈশাখী দিন শীতল স্রোতে গা ভাসায় সী লায়ন এর জিন, পয়েন্ট লোমার লাইটহাউস ছুঁয়ে যায় এক দীর্ঘতর ছায়া নিঃশব্দে চুম্বনরত নেভি পীয়ারের জলদেবীর কায়া তুমি কত বেশে, নিলে বাহুপাশে, ক্যালিফোর্নিয়া মায়া।
পুজোর কবিতা: পুজো এসে গেলো, অনিশ্চ​য়তার মাঝে দেবীর দোলা অতিমারি পেরিয়ে এবার​ মেলবন্ধনের পালা লুকিয়ে থাকা মেঘের মাঝে বৃষ্টি আসে ভৈরবী সাজে ঢাকের বাদ্যি, ধুনুচি নাচ​, সিঁদুর খেলা, পুজো পুজো  সাজে সমাজের শাড়ী মেলা। তুমি আসবে বলেই শরতের আকাশ নরম তুলতুলে, প্রথম প্রেমের আলতো আবেশ ছড়ায় শিউলি ফুলে। তুমি আসবে বলেই কাশের বন মৃদু হাওয়ায় দোলে, মায়াবি রাত হারায় তারায় স্বপ্নের কোলে কোলে। তুমি আসবে বলেই শিকেয় ওঠে বাজারের সেই থলে, মন ভরে না, মুখে রচে না ভাত মাছের ঝোলে। তুমি আসবে বলেই ঢাকের শব্দে মনের দরজা খোলে, মনোহারিনী তরুনী ঢাকাই হাঁকায় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। তুমি আসবে বলেই গানের সুরের আসনখানি মেলে, টিম গড়ি, লড়াই করি কমপিটিশান খেলে। তুমি আসবে বলেই বিসর্জনের বাজনায় চোখ ছলছল, স্বচ্ছ ভারত ফেনার আড়ত যমুনার পুন্য জল। তুমি আসবে বলেই দশমীর বিদায় রঙ ভুলে, আসছে বছর আবার হবে আশ্বাসবানী মেলে। পুজো চলে যায়​, কবিতা এখন রাতের আকাশে ক​য়েক হাজার গাড়ি কবিতা এখন মানুষের মিছিলে আবছা মুখের সারি ছায়ার শরীরে বিষন্নতা, দেওয়াল ঘড়ির স্তব্ধতা, শব্দের ভিতরে হারায় কথা মনখারাপের দিনগুলোতে বড়ই একা।