সে এসেছিল​:
এক শীতের রাতে উত্তর গোলার্ধ ছুঁয়ে উড়ে আসা পরিযায়ী পাখীর মতন সে এসেছিল পৃথিবীর সমস্ত উষ্ণতা নিয়ে। পাতা ঝরা তখন প্রায় শেষ, নতুন পাতা আসতে শুরু করেছে সবে। তার আসার সংবাদ পেয়ে প্রদুষন কাটিয়ে ভোরের অাকাশ সমস্ত স্নিগ্ধতা নিয়ে হাজির। শিউলি ফুলও অসম​য়ে ফুল ঝরিয়ে গেল তার আগমনে। সেকি ভুলতে পারে তার জন্যে অপেখখা করছে চাঁপা, করবী আর কত কি! কবিগুরুর ভাষায় "সহসা ডালপালা তোর উতলা যে, ও চাঁপা ও করবী, কারে তুই দেখ্তে পেলি আকাশ মাঝে"।সুতরাং সব আকর্ষন অগ্রাহ্য করে শুধু ছুটে চলা উষ্ণতা বিনিম​য়ের তাগিদে। সেকি চেষ্টা করেছিল জীবনের ধুসর রং এর ওপর প্রেমের সবুজ রং ঢেলে শীতকালীন আড়ষ্টতা কাটিয়ে তোলানোর। সেকি ছিল হেমন্তে কোন বসন্তের বানী যে দীপালিকায় আলো জ্বালাতে ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো। যতই ভাবি তারে ধরিয়া রাখিব সোহাগে যতনে কিন্তু প্রকৃতির ঋতু পরিবর্তনের মতই তাকে তো যেতেই হয় অন্য এক গোলার্ধে যেখানে আর এক পৃথিবী অপেখ্খা করে আছে। না হলে কি করে আসে বর্ষা আর কেমনেই বা মেঘের অবগুন্ঠন খুলে আসে শর​ৎ। তার চেয়ে এই ভালো আমার এই পথ চাওয়া।

সে এসেছিল 🎂

একটি জন্মদিনের কবিতা

সে এসেছিল এক শীতের রাতে,

উত্তর গোলার্ধ ছুঁয়ে উড়ে আসা

পরিযায়ী পাখির মতন—

পৃথিবীর সমস্ত উষ্ণতা নিয়ে।

পাতা ঝরা তখন প্রায় শেষ,

নতুন পাতার প্রথম স্পর্শে

জেগে উঠেছিল গাছের প্রাণ।

তার আগমনে ভোরের আকাশ

প্রদূষণ ভুলে স্নিগ্ধতায় ভরে উঠেছিল।

শিউলি ফুলও অসময়ে

ঝরিয়ে দিল তার শুভেচ্ছা,

চাঁপা, করবী, আর কত যে ফুল

অপেক্ষায় ছিল তার জন্যে—

কবিগুরুর ভাষায়,

সহসা ডালপালা তোর উতলা যে…”

সে এসেছিল শুধু উষ্ণতা বিনিময়ের তাগিদে,

সব আকর্ষণ অগ্রাহ্য করে

জীবনের ধূসর রঙে প্রেমের সবুজ ঢেলে

শীতের আড়ষ্টতা কাটাতে।

সে ছিল হেমন্তে এক বসন্তের বার্তা,

দীপালিকার আলো হয়ে

ঘরে ঘরে ডাক পাঠানো আনন্দ।

আমরা ভাবি, তাকে ধরে রাখব

সোহাগে, যত্নে, ভালোবাসায়—

কিন্তু ঋতুর মতই

তাকে তো যেতেই হয়

অন্য এক গোলার্ধে,

যেখানে আর এক পৃথিবী

অপেক্ষা করে আছে।

না হলে কীভাবে আসে বর্ষা?

কীভাবে মেঘের আবরণ খুলে

আসে শরৎ?

তাই, আজ তার জন্মদিনে

আমার এই পথচাওয়া—

সে যেন উড়ে চলে

আবার এক নতুন ঋতুর দিকে,

আলো, প্রেম, আর সম্ভাবনার দিকে।

Comments

Popular posts from this blog